শুক্রবার, ৪ মে, ২০১২

পড়ন্ত বিকেলের অতিথি হিলারি


হিলারির সঙ্গে তাঁর মেয়ে চেলসি। ৩ এপ্রিল, ১৯৯৫ যশোরের এক গ্রাম থেকে তোলা ছবি
হিলারির সঙ্গে তাঁর মেয়ে চেলসি। ৩ এপ্রিল, ১৯৯৫ যশোরের এক গ্রাম থেকে তোলা ছবি
এপি
এক পড়ন্ত বিকেলের অতিথি হয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরে আজ আসছেন। মেয়াদের দিক থেকে এই পড়ন্ত বিকেল শেখ হাসিনা ও বারাক ওবামা উভয়ের জন্য সত্য। শেখ হাসিনার জন্য বেশি সত্য। তবু বেইজিং থেকে ঢাকা হয়ে হিলারির দিল্লি সফর বিশ্বকূটনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা-অধ্যুষিত বাংলাদেশে ২০০৮ সালে একটি জঙ্গিবাদবিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তির বিজয়ের পর ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের অগ্রগতি ও যতটা গতিসঞ্চার প্রত্যাশিত ছিল, সেটা ঘটেনি।
হিলারি এক অস্থির, ইলিয়াস আলীর গুমজনিত গুমোট পরিবেশে বাংলাদেশে, যখন রাজনৈতিক সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে এবং আরেকটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কি হবে না—সেই দুশ্চিন্তায় আমরা সবাই জেরবার। 
যুক্তরাষ্ট্রের মুখ্য চাওয়া, টিকফা তারা হয়তো এখনই পাবে না। কিংবা বাংলাদেশের মুখ্য চাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগও মিলবে না। তেমন কোনো দয়াদাক্ষিণ্য ছাড়াই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তৃতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক। আফ্রিকার স্বল্পোন্নতরা যখন বিনা শুল্কে, তখন আমরা ১৭ থেকে ৩২ ভাগ পর্যন্ত শুল্ক দিয়ে ঢুকি। ইউনিসেফ ও ইউএনডিপির সাহায্য গ্রহণকারীদের তালিকার প্রায় শীর্ষে আমরা থাকি, ইউএসএইডে থাকি না। মাতবরের মাথায় ছাতি ধরার স্বস্তি নিয়ে হাইতিতে আমরা বিল ক্লিনটনের ডাকে সাড়া দিই। সবার আগে সৈন্য পাঠাই। জর্জ বুশের সন্ত্রাসী যুদ্ধের হাতিয়ার হই। আফগানিস্তানে হামলা চালাতে আমরা ‘শূন্য শুল্কে’ জল-স্থল-অন্তরিক্ষ ইজারা দিই। এর বিনিময়ে আমরা যথাপ্রতিদান পাই না। এখন তাদের আগ্রহেই কৌশলগত নতুন চুক্তিতে আমরা হয়তো ঢুকব, কিন্তু মর্যাদার সঙ্গে কী পাব?
মাত্র ছয় মাস আগে হিলারি ক্লিনটন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এই চিঠির শেষ বাক্যটি এ রকম: ‘আশা করি একটি উন্নত পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আমার পুনরায় বাংলাদেশ সফর সম্ভব করে তুলবে।’ হিলারি কি তাঁর ‘উন্নত পরিস্থিতি’র দেখা পেয়েছেন, না পাবেন?
হিলারি লিখেছিলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের জন্য জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক হয়রানি, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং কতিপয় এনজিওর ওপর চাপ বাড়ানো হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুঁজে বের করতে আমি গুরুত্ব আরোপ করেছিলাম।’ কিন্তু বিষয়টি ঝুলে আছে। বৃহস্পতিবার একজন ওয়াকিবহাল জ্যেষ্ঠ বাংলাদেশি কূটনীতিকের কাছে জানতে চাইলাম, এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো প্রশ্ন ওঠে কি না। তিনি বললেন, প্রশ্ন ওঠে। আমরা বলি, গ্রামীণ ব্যাংক কারও ব্যক্তির নয়, এটা রাষ্ট্রের। নতুন এমডি খুঁজে পেতে একটি বাছাই কমিটি কাজ করছে।
হিলারির অন্যান্য অভিযোগ অপনোদনের কোনো চেষ্টাও অবশ্য আমরা দেখিনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দুই নেত্রীর তিক্ততা প্রকট হয়েছে। হিলারি অভিযোগ করেছিলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায়, নাগরিক সমাজের প্রতি আপনার সরকারের সমর্থনে ঘাটতি আছে। গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলো শক্তিশালীকরণেও অনিশ্চয়তা চলছে। তিনি এ কথাও উল্লেখ করেছিলেন যে এই ঘাটতির বিষয়ে শুধু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নয়, কংগ্রেস সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিজের স্পন্দমান নাগরিক সমাজেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ক্ষমতাসীন দল এর প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ করারও কোনো দরকার আছে বলে মনে করেছে বলে আমরা প্রমাণ পাই না। হিলারির সফরকে সমানে রেখে দীপু মনি যখন সার্বভৌমত্বের কথা বলেন, তখন আমরা তা মানি। কিন্তু যখন শত গুম সত্ত্বেও তিনি বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়, তখন তা মানতে অপারগ।
‘গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলো’ কী, হিলারি তাঁর ওই চিঠিতে তা ভেঙে বলেননি। তবে গত ২৩ এপ্রিল হিলারি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক এক ভাষণে গণতন্ত্রের স্তম্ভ সংজ্ঞায়িত করেন। বলেন, সংখ্যালঘুর প্রতি অধিকতর শ্রদ্ধা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেওয়া হলো গণতন্ত্রের স্তম্ভ। আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির তুলনামূলক উন্নতি ঘটেছে। তবে স্পষ্টতই বিরোধীদলীয় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সরকার সহ্য করেনি। সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড প্রশ্নচিহ্ন হয়ে আছে। আর গণতন্ত্রের যে স্তম্ভটি মজবুত না থাকলে গণতন্ত্র থাকার দাবি করাই অর্থহীন, সেখানে বাংলাদেশে অবশ্যই অবনতি ঘটেছে। ভয়ংকর অবনতি ঘটেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে সামান্য কিছু আর অবশিষ্ট রয়েছে। হিলারির সঙ্গে কথা বলে খালেদা জিয়া সন্তুষ্ট হতে পারেন। কারণ, অবাধ নির্বাচন প্রশ্নে হিলারি যা বলতে পারেন, তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হতে পারে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে হিলারি বলেছিলেন, রাষ্ট্রদূত স্টিফেন র‌্যাফ দুবার বাংলাদেশ সফর করেছেন। এই বিচার কীভাবে হিলারির কথায় ‘স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’ হয়, সে জন্য র‌্যাফ সরকারকে ‘সমন্বিত সুপারিশ’ রেখেছেন। যত দূর সম্ভব, বিচারে সহায়তা দিতে রাষ্ট্রদূত র‌্যাফ সদা প্রস্তুত থাকবেন বলেও হিলারি ক্লিনটন উল্লেখ করেছিলেন। আমরা অবশ্য কখনো জানতে পারিনি র‌্যাফের ‘সমন্বিত সুপারিশমালা’ কী ছিল এবং তার কতটা সরকার পালন করেছে কিংবা করেনি। তবে আমি এ প্রসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেব মাও সে-তুংয়ের সঙ্গে হিলারির পূর্বসূরি হেনরি কিসিঞ্জারের সংলাপ। বেইজিংয়ে গিয়ে কিসিঞ্জার চীনা নেতাকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যাতে পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না পারে, আমি দরকার হলে সেটা পররাষ্ট্রনীতির অংশে পরিণত করব।’ মার্কিন সরকারের অবমুক্ত করা অনেক গোপন দলিল সাক্ষ্য দিচ্ছে, কিসিঞ্জার সেটা করেছিলেন। খাদ্যাস্ত্র ব্যবহার করে কিসিঞ্জার বাংলাদেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিচার-প্রচেষ্টার আন্তরিক উদ্যোগ তিনি ভন্ডুল করে দিয়েছিলেন। আমি সব সময় বলি, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের প্রতি নৈতিক সমর্থন দেওয়ার দায় স্বীকার করে ওবামা-হিলারির উচিত, বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা। তাঁরা কেন অতীতের গ্লানি বয়ে বেড়াবেন।
আজ হিলারির সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রবার্ট ও ব্লেক থাকবেন। তিনি বাংলাদেশে একাধিকবার এসেছেন। গত ২৭ এপ্রিল হনলুলুতে অবস্থিত ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় মুখ্য উন্নয়ন’ শীর্ষক যে বক্তব্য দেন, তা গুরুত্বপূর্ণ। একটা কথা চালু আছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দিল্লির চশমা দিয়ে দেখে। এই ধারণায় ওয়াশিংটনের কোনো কোনো মহল একদা আচ্ছন্ন থাকলেও সাম্প্রতিক কালে এখানে পরিবর্তন এসেছে। অনেকের মতে, তার মূলে চীন। কর্ণফুলীর মোহনায় কনটেইনার পোর্ট করতে না পারার যাতনা নিয়ে ওয়াশিংটন এখন তীক্ষ চোখ রাখছে, প্রস্তাবিত সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দরটির নির্মাণকাজ চীনারা পায় কি না। এই উদ্বেগ দিল্লির থাকাও অস্বাভাবিক নয়। তবে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের এবং দিল্লিতে নিযুক্ত আমাদের হাইকমিশনার আহমাদ তারিক করিমের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের স্থিতি ও উন্নতি দুই দেশের স্বার্থের রক্ষাকবচ—এটা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বুঝতে পেরেছে। চীনেরও তাতে শিরঃপীড়া নেই।
হনলুলুতে ব্লেক বলেছেন, ‘আমরা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এমন পর্যায়ে তুলতে চাইছি, যখন এক মুহূর্তের নোটিশে আমাদের সামরিক বাহিনী একটি যৌথ শান্তিরক্ষা অপারেশন কিংবা একটি যৌথ মানবিক উদ্ধার-তৎপরতায় অবতীর্ণ হতে পারে।’ 
ব্লেক সুসম্পর্কের আরও দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন, তার বিবরণ আর দিতে চাই না। সুতরাং, দিল্লি-ওয়াশিংটনের এই গভীর সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে আমি যখন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আহমাদ তারিক করিমের কাছে জানতে চাইলাম, আচ্ছা, বলুন তো ‘আমাদের পানি সমস্যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হিলারি ক্লিনটন কি আমাদের জন্য কোনো কথা বলতে পারেন? তিনি হাসলেন। বললেন, আমাদের তো এখানে কিছুই বলার নেই। যদি তিনি বলেন সেটা তাঁর ইচ্ছে।’ হিলারি ভারত সফরে সব সময় কোনো একটি নতুন রাজ্য বেছে নেন। কিন্তু কলকাতায় হিলারির প্রথম সফরকে লাল দুর্গের পতন উদ্যাপন হিসেবেও কেউ দেখতে পারেন। 
গতকাল পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টের মুখপত্র দৈনিক গণশক্তির প্রথম পৃষ্ঠার শিরোনাম: ‘মমতা-হিলারি আলোচনায় বাংলাদেশ কেন, প্রশ্ন উঠছে কূটনৈতিক মহলে।’ এর উৎস ওয়াশিংটন থেকে পিটিআইএর পাঠানো একটি খবর। এতে বলা হয়েছে, ‘হিলারি ক্লিনটন মনে করেন, মমতার সঙ্গে কথা বলার এটা গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং তার বাইরের বিষয় নিয়েও কথা বলবেন। আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চাইছি।’ পশ্চিমবঙ্গ যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী, সে কথাও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
২০০৯ সালে ভারত সফরকালে হিলারির ঢাকায় আসার কথা ছিল। এর আগে তিনি ইয়াঙ্গুন ও ইসলামাবাদ সফর করেছেন। ঢাকায় আসার সময় তাঁর হয়নি। বড় ঝড়ের আগে অনেক সময় বাংলাদেশে বড় আন্তর্জাতিক নেতার আগমন ঘটে। আগামী নভেম্বরেই হিলারি নির্বাচনের পিঁড়িতে বসবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ছাড়াও স্পিকার, বাণিজ্য, শিল্প, অর্থ, স্থানীয় সরকার, শ্রম ও জনশক্তি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন সফর করেছেন। কিন্তু ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া হয়নি শেখ হাসিনার। তেমন কোনো আমন্ত্রণও নেই। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পরে অপেক্ষাকৃত শান্তি ও স্থিতিকালে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের পরীক্ষিত মিত্র শেখ হাসিনার উপযুক্ত কদর ওয়াশিংটন করেছে বলে প্রতীয়মান হয়নি। ড. ইউনূসের প্রতি সরকারের অমার্জনীয় আচরণে আমরা ব্যথিত। কিন্তু আমরা মানতে পারি না যে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতেও এবং যিনি ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উন্নয়নে সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন, তাঁকে ওবামা ও হিলারি সত্যিকারের কোনো সহায়তা দিতে পারেননি। তবু এই পড়ন্ত বিকেলে হিলারি ক্লিনটন যদি মমতাকে বোঝাতে পারেন, তাহলে মঙ্গল। বিপদে বন্ধুর পরিচয়। 
আজ বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পরিচিত প্রণব মুখার্জিও আসছেন। তাঁর সফরও তাঁর সরকারের একপ্রকার বেলা শেষের। মমতা-কাঁটায় তাঁরাও কম বিদ্ধ নন। শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে বাড়তি কিছু নয়, ন্যায্য কিছু দিলেই চলে। জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ যদি দিল্লি ও ওয়াশিংটনের স্বার্থের পরিপূরক হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ওবামা-মনমোহনের একযোগে কিছু করা জরুরি নয় কি?
 মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।

mrkhanbd@gmail.com


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন