শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২

বিএনপির চেয়ারপারসনের চীনা-চমক



চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন বেগম খালেদা জিয়া চীনা সামরিক বাহিনীর সংবাদপত্রের খবর, ১৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ভারত তার সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন করছে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর ভারত তার বিরোধপূর্ণ চীন সীমান্তে বৃহত্তম সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে। এখানে মোতায়েন থাকবে এক লাখ সেনা।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চায়না ইনস্টিটিউটস অব কনটেম্পরারি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের বিশেষজ্ঞ ফু জিয়াও কিয়াং ওই চীনা দৈনিককে বলেছেন, ‘ভারতের এই সমরসজ্জা চীনকে সামলানোর বৃহত্তর পশ্চিমা পরিকল্পনার অংশ। পশ্চিমারা চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সংঘাত উসকে দিয়ে সুবিধা নিতে চাইছে।’ তবে ওই সংবাদপত্র বলেছে, ভারতের এক লাখ বাড়তি সেনা মোতায়েনের কারণ সামরিকের চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক। (হিন্দু, ১০ নভেম্বর, ২০১১)
এই প্রেক্ষাপট অসত্য নয়, আবার এটাই নিরেট চিত্র নয়। সার্কে চীনের বৃহত্তর ভূমিকা রাখার আগ্রহকে চীন-ভারতের বিবাদের আলোকেই বিচার করা যাবে না। বাংলাদেশ সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাকালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সার্কে চীনের ‘পূর্ণ সদস্যলাভ’ আশা করেছেন। কিন্তু চীন নিজে তা বলেনি। পাঁচ বছর আগে ভারত আফগানদের সার্কে আনতে চাইলে পাকিস্তান চীনকে পর্যবেক্ষক করে। তখন ভারতের ‘বিস্ময়কর আগ্রহে’ সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও তাতে সামিল হয়। এখন চীন সার্কের নিয়মিত শীর্ষ সম্মেলনের অতিরিক্ত একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক হতে চাইছে। সর্বসম্মসত সিদ্ধান্ত ছাড়া এর বাস্তবায়ন অসম্ভব। নতুন সদস্য করতে সার্কের গঠনতন্ত্র শুধরাতে হবে। সুতরাং এ অবস্থায় অন্তর্নিহিত ভারত-বিরোধিতার সুরে অর্থহীন চীনপ্রীতি অনভিপ্রেত।
বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খানের মন্তব্য, ‘সার্কের একটি বৃহৎ শক্তি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ছোট রাষ্ট্রকে অব্যাহতভাবে দমিত রাখছে।’ তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে ওই আলোচনায় অংশ নেন, টেলিফোনে জানতে চাই, সার্কের পূর্ণ সদস্য হতে চীনের কি প্রস্তাব ছিল, নাকি এটা বিএনপির আগ বাড়ানো উদ্ভাবনী প্রস্তাব? ড. খান এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা জানান।
মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় অন্ধ ভারত-বিরোধিতার মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছিল। দিল্লি-ওয়াশিংটন বদলেছে। বিএনপি বদলায়নি। জাতীয় স্বার্থে এই বদলটা দরকার।
বহুল আলোচিত বিগ ফোর (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন) রিপোর্টের পূর্বাভাস হচ্ছে, ২০৩২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, তাঁরা দুই (ভারত ও চীনের) ডানায় উড়তে চান। বাংলাদেশকেও ‘দুই ডানায়’ ওড়া রপ্ত করতে হবে, সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও মন জোগাতে হবে।
১৯৭৭ সালের দিকে জিয়াউর রহমান যখন চীনের সঙ্গে দোস্তি করেছিলেন, তখন তাঁর ভারতবিরোধী নীতি ছিল উগ্র। সে সময়ের ভারত-চীনের মাত্র দুই মিলিয়ন ডলারের দুমুখী বাণিজ্যটা ২০১০ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলার (এর ২৫ বিলিয়নই দিল্লির প্রতিকূলে) অতিক্রম করেছে। ২০১৫ সালে এটা তারা ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি এখনও এক বিলিয়ন ডলার নয়। চীনের জানিদোস্ত পাকিস্তান ২০১০ সালে চীন থেকে ছয় বিলিয়ন ডলার আমদানি করেছে। রপ্তানি মাত্র এক বিলিয়ন ডলার। চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও গত ডিসেম্বরে চার শ ব্যবসায়ী নিয়ে ভারতে তাঁর সুপারডুপার হিট সফরে যান। চীনা ও ভারতীয়রা তখন ১৬ বিলিয়ন (ভারতে ২০০৮ সালের মার্কিন এফডিআইর সমান) ডলারের ব্যবসায় চুক্তি সই করেছিলেন।
ঢাকা ও ইসলামাবাদ যথাক্রমে দিল্লি ও বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রগাঢ় উষ্ণতা নিয়েও এ ধরণের একটি শীর্ষ সফর কল্পনা করতে অক্ষম। গুজরাটের বিতর্কিত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন যাচ্ছেন। একে সামনে রেখে গুজরাটে ২৫০০ কোটি রুপি বিনিয়োগে গ্রিনপার্ক বানাতে চীনারা সমঝোতা স্মারক সই করল গত সপ্তাহে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দিল্লির দোস্তির কারণেও চীন-ভারতের বাণিজ্যের বাড়বাড়ন্তে ঘাটতি পড়েনি। সুতরাং ভারতকে দেখিয়ে দেওয়ার মনমানসিকতা থেকে যাঁরা ঢাকায় সার্কে চীনের অন্তর্ভুক্তি চাইছেন, তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
সার্কে চীনের বৃহত্তর ভূমিকা রাখার বিষয়ে ভারতের শীতল মনোভাবের সরকারি বক্তব্য আমাদের নজরে আসেনি। বরং সার্কের আদ্দুসিটি ঘোষণায় ‘ডায়লগ পার্টনার’ ইস্যু আলোচনা করতে ভারতের সম্মতি লক্ষণীয়। সার্কের এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক দ্য স্ট্রেইট টাইমসকে বলেছেন, ‘চীন আসিয়ানের মতো সার্কের আট সদস্যের সঙ্গে বছরে একটি অতিরিক্ত শীর্ষ সম্মেলনে বসতে আগ্রহী। তাদের এই আগ্রহ ভারতকে অসন্তুষ্ট করেছে; এবং আমরা বেশির ভাগ সদস্যই চুপচাপ দেখে যাচ্ছি। কারণ, আমরা দিল্লিকে অসন্তুষ্ট করতে চাই না।’ চীন ও ভারত পূর্ণ সদস্য না হয়েও আসিয়ানে একাকার হচ্ছে। চীন আসিয়ান প্লাস থ্রি-র সদস্য। চীন ও ভারত সেখানে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি সেরেছে। বিশ্ব দাবাখেলার মধ্য দিয়ে এভাবে সবাইকে নিয়েই আসিয়ানের জয়যাত্রা অব্যাহত। তার কমন মার্কেট হচ্ছে ২১০৫তে।
আরও বহু আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে ভারত ও চীন একত্রে সক্রিয় রয়েছে। ১৯৯৬-এ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এসসিও চীনসহ পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠিত হয়। কথা ছিল, সাংহাই সীমান্ত সন্নিহিত দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট হবে এটি। চার বছর পর এর পর্যবেক্ষক হয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও ইরান। ভারত এখন এই সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ পেতে উদগ্রীব। চীন ভারতকে সদস্যভুক্ত করতে রাজি হয়েছে।
মাহাথির মোহাম্মদের স্বপ্নপ্রসূত ইস্ট এশিয়া সামিটেও (ইএএস) একই চিত্র। আসিয়ানের ১০টি দেশ ছাড়া এতে ভারত ও চীন আছে। তবে প্রফেসর এস ডি মুনি তাঁর এক গবেষণাপত্রে দেখান, চীন প্রথমে ভারতকে নিতে ‘দ্বিধান্বিত’ থাকলেও পরে রাজি হয়েছে। উইকিলিকস সূত্রে পাওয়া মার্কিন কনসাল ব্লেকের ২০০৫ সালের দিল্লির বার্তায় লেখা: ‘চীন যেহেতু ইএএসে ভারতের পূর্ণ সদস্যপদ কবুল করেছে, দিল্লি তাই সার্কে চীনের পর্যবেক্ষক মর্যাদা মানছে।’
আমরা কানেকটিভিটির কথা বলি। এবং সেখানে এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির অবস্থান প্রায় অভিন্ন। ১৯৯৯ সালে কুনমিংয়ে বেসরকারিভাবে গঠিত হয় বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারকে নিয়ে একটি ফোরাম। গত জানুয়ারিতে এ ফোরাম কুনমিং-মান্ডালে-ঢাকা-কলকাতা অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার করেছে। ওই সম্মেলনে ভারতীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এরিক গনজালেস (ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত) চীনা সহায়তায় চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নকে স্বাগত জানান। যদিও এখন জানা যায়, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রস্তাবমতে চীনকে দিয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনে একটা অস্বস্তিতে আছে। এর আগে শেখ হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সোফা’ চুক্তি করতে পারেনি ভারতের আপত্তির কারণে। এখন দিল্লি-ওয়াশিংটন সাধারণত একই সোফায় বসতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে হংকং থেকে ফিলিপ বাউরিং লিখেছিলেন: ভূরাজনৈতিক অবস্থানই বাংলাদেশকে তার বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের ওপর বড় নির্ভরশীল করেছে। তবে ভারত এটা বুঝতে শুরু করেছে যে বাংলাদেশের সঙ্গে দাদাগিরি করলে তার নিজের অন্যান্য সমস্যা আরও নিকৃষ্ট হতে পারে (নিউইয়র্ক টাইমস, ১১ জানুয়ারি ২০১০)।
এটা বড় পরিহাসের হবে যে চীন ও ভারত সব কৌশলগত সমীকরণ, সব সন্দেহ-সংশয় বজায় রেখেই শত শত বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করবে; আসিয়ানে, এসসিওতে, ইএএসে মেলবন্ধন গড়ে তুলবে আর তাদের একান্ত প্রতিবেশীরা সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবে। যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু স্পষ্ট বলে দিয়েছে, তাদের দেশের বিনিয়োগ (এফডিআই) চীন কিংবা ভারতে নয়, শুধুই আসিয়ানের জন্য। বারাক ওবামা হনলুলুর অ্যাপেক বৈঠকে আসিয়ান নেতাদের তোয়াজ করলেন। আন্তপ্রশান্ত অর্থনৈতিক জোন গঠনের রূপকল্প দিলেন। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির খিদে মেটাতে মঙ্গলবার চীনের বাণিজ্য ও মুদ্রানীতির বিরুদ্ধে ওবামা তীব্র খেদোক্তি করেছেন। এ রকম প্রায় অসার তর্জনগর্জনকে আমরা সম্ভবত বেশি মনে রাখি। ২০১০ সালে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি ৯১ বিলিয়ন ডলার, আর চীন থেকে তার আমদানি কত? ৩৪৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি ১৯ বিলিয়ন ডলার। ভারত থেকে আমদানিটা চীনের তুলনায় বারো ভাগের এক ভাগ মাত্র ২৯ বিলিয়ন ডলার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেন যদিও মনে করেন, ‘সার্কে চীনের সদস্যপদ বিবেচনার সময় এখনই নয়। ভারত ও অন্যরা এর বিরোধিতা করবে।’
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যাই ঘটুক তাতে আমাদের কী এসে যায়? ড্রাগন ও হাতির কসরৎ আমরা কি চেয়ে চেয়ে দেখব?
তবে সার্ক খাঁচায় ঢুকতে ‘ড্রাগনের’ নয়া আগ্রহ আমাদের নানা কারণে কৌতূহলীও করে। মূল কারণ পানিসম্পদ। আমরা গত চার দশক পানি নিয়ে শুধু ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিগগির এই চিত্রটি বদলাতে পারে। দেখা যাবে, চীনের ‘পানি প্রভুত্ব’ নিয়ে সোচ্চার হতে ভারত অভিন্ন অববাহিকার বাংলাদেশ ও নেপালকে কাছে পেতে চাইছে। মেটগে ব্রহ্মপুত্রের ওপরে চীন ৩৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির জন্য বাঁধ তৈরি করবে। বিশ্বের বৃহত্তম ‘থ্রি জর্জেস ড্যামের’ চেয়ে উচ্চতায় সেটা দ্বিগুণ হবে। তিস্তা মরে যাবে। দিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের অধ্যাপক ব্রমা চেলানি লিখেছেন, ‘চীন কখনো তার প্রতিবেশীর সঙ্গে পানিচুক্তি করেনি। চীনের কাছ থেকে সর্বাগ্রে তার পানিনীতি আশা করি, সে জন্য তার সার্কের পূর্ণ সদস্য হওয়ার দরকার নেই।’ মওদুদ আহমদ লেখককে বলেন, ‘নেপালি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পানিসম্পর্কিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। এটা তাৎপর্যপূর্ণ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নিশ্চিত করেন যে চীন সার্কের পূর্ণ সদস্য হতে চায়নি। চীনাদের আস্থাভাজন রাশেদ খান মেনন লেখককে বলেন, ‘তারা কখনোই সদস্য হতে চায়নি।’ মনে হচ্ছে, বিএনপি নেত্রী নতুন এক চীনা-চমক দিলেন।
দুই দল বুঝলে দেশের মঙ্গল, মাতবরের মাথায় ছাতি ধরে নিজের কদর বাড়ানোর কৌশল বাসী হয়ে গেছে। যে কারো প্রতি অন্ধ অনুরাগ আত্মঘাতী।
মোদ্দা কথা হল দুই দলকেই পররাষ্ট্রনীতিতে অভিন্ন অবস্থান নিতে হবে, গলাগলি না হলেও গালাগালির ভিত্তিতে নয়। ই-মেইলে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রধান ড. আলী রীয়াজের মন্তব্য, ‘এ অঞ্চলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সমীকরণ দীর্ঘস্থায়িত্ব পাবে।’
অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম ১৪ নভেম্বর প্রথম আলো কার্যালয়ে চীন, ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ও পানিসম্পদ নিয়ে মতবিনিময় করছিলেন। এ সময় তাঁর মন্তব্য, ‘বৃহৎ রাষ্ট্রের তরফে সুবিধা পেতে দুর্বল রাষ্ট্রের উচ্চতর ধীশক্তি, কূটনেতিক উৎকর্ষ থাকতে হবে।’
বাংলাদেশ এখানটাতেই মার খাচ্ছে নয় কি?
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com 
মিজানুর রহমান খান | তারিখ: ১৭-১১-২০১১

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন