মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১২

প্রধান বিচারপতির নীরবতা ভাঙবে কি


মিজানুর রহমান খান

স্পিকার আবদুল হামিদের রুলিংয়ে একটা অস্বস্তির অবসান ঘটেছে। তবে প্রধান বিচারপতিকে তাঁর করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের আশঙ্কা, তিনি নীরবতা অবলম্বন করতে পারেন, যদি তা হয় তবে সেটা হবে দুঃখজনক।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্পিকার সুনির্দিষ্টভাবে সংবিধানের ৭৮(১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। এই অনুচ্ছেদ বলেছে, সংসদের কার্যধারার বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। গত ২৬ মে স্পিকার সংসদে বিচারকের প্রতি ইঙ্গিত করে ‘আমি কি হনুরে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। আলোচ্য বিচারক এর উত্তরে ৫ জুন স্পিকারের উক্তিকে ‘দেশদ্রোহের শামিল’ এবং স্পিকার হিসেবে তাঁর জ্ঞান নিয়ে কটাক্ষ করেও মন্তব্য করেছিলেন। বিচারক, স্পিকার কিন্তু তাঁদের নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরতে ‘যথাযথ প্রক্রিয়া’ অনুসরণে অপারগ থেকেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে আলোচ্য বিচারকের আচরণ শুধু স্পিকার ও সংসদকেন্দ্রিক নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর বিচারকসুলভ আচরণ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ও উষ্মা সৃষ্টি হয়েছিল।
স্পিকার সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতির কাছেও তাঁদের ‘স্বীয় বিবেচনায়’ বিচারকের আচরণ মূল্যায়নের ভার দিয়েছেন। এরপর তিনি নির্দিষ্টভাবে বলেন, ‘আদালতের এ ধরনের আচরণে কী করণীয় থাকতে পারে, মাননীয় প্রধান বিচারপতি সে বিষয়টি ভেবে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, তাতে আমাদের সমর্থন থাকবে।’ লক্ষণীয় যে, বিষয়টি তিনি ঠিকই একজন বিচারকের ব্যক্তিগত বিষয় নয়, ‘আদালতের’ বিষয় বলেই চিহ্নিত করেছেন।
বিচারপতি শামসুদ্দিনের বিষয়ে সংসদে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার দাবি ওঠার পরে প্রধান বিচারপতি স্পিকারের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এর রেওয়াজ নেই। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতির সামনে আনুষ্ঠানিক অর্থে একটি পথ খোলা। আর সেটা হলো, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে আলোচ্য বিচারকের আচরণ তদন্ত করা। এ মুহূর্তে কাউন্সিল প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও বিচারপতি এম আবদুল ওয়াহাব মিয়াকে নিয়ে গঠিত। তবে প্রধান বিচারপতি বা কেউ চাইলে নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেন। এঁদের একজন সরে দাঁড়ালে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা কাউন্সিলে আপনাআপনি অন্তর্ভুক্ত হবেন। 
এখন প্রশ্ন হলো, স্পিকারের অনুরোধে সাংসদরা ‘অপসারণের প্রস্তাব’ প্রত্যাহার করলে কী হবে। সংসদের পক্ষে এ ধরনের একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ঝুলতে থাকলে সংসদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা বজায় থাকতে পারে। সংসদের এ ধরনের প্রস্তাবের মুখে যদি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সক্রিয় হয়, তাহলে তার কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিচার বিভাগও বিষয়টিকে একটি পাল্টা মনোভাব হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। সুতরাং, অপসারণের প্রস্তাব প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়ে স্পিকার বিজ্ঞোচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু মুশকিল হলো, এই সমাজে এ রকম বিশেষজ্ঞের কোনো অভাব হবে না—যাঁরা স্পিকারের রুলিংয়ের মধ্য দিয়ে আলোচ্য বিচারকের আচরণ-বিতর্কের অবসান চাইবেন। কিন্তু সেটা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এর কারণ বহুবিধ। তবে এর মূল কারণটি নির্দিষ্ট করতে স্পিকার সতর্ক ছিলেন। সে জন্য তিনি বলেন, ‘এর ফলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা হয়তো সম্ভব হবে।’ 
স্পিকার সংসদের ফ্লোরে ক্ষুব্ধ সাংসদদের উত্থাপিত অভিযোগকে খণ্ডিতভাবে নিয়েছেন। স্পিকার শুধু তাঁর নিজের ও সংসদের বিষয়ে বিচারকের বক্তব্য আমলে নিয়েছেন। অথচ সেদিন অন্যান্য নাগরিকের বিরুদ্ধে একই বিচারকের ধারাবাহিক অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। তোফায়েল আহমেদের ‘স্যাডিস্ট’ কিংবা মুজিবুল হকের জবানিতে বিচারকের ‘মানসিক সামর্থ্য’ নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন বা আকস্মিক বলে গণ্য হওয়ার নয়, স্পিকার সম্পর্কে এক দিনের একটি উক্তি থেকে উদ্ভূত নয়। স্পিকার সাংসদদের আবেগসঞ্জাত বক্তব্যের প্রতি অবশ্য শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন। ওই দিনের বক্তব্যে তিনি কোনো অসংসদীয় শব্দ পাননি। সুতরাং, আলোচ্য বিচারক শুধু আচরণগত নয়, তাঁর ‘মানসিক সামর্থ্য’গত দিক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এভাবে স্পিকার নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করেও তিনি পরোক্ষভাবে ওই অভিযোগ সমর্থনের ইঙ্গিত করেছেন। বলেছেন, ‘কোনো বিবেচক ব্যক্তি এরূপ উক্তি করতে পারেন কি না, আমার সন্দেহ রয়েছে।’ 
এখানে লক্ষণীয় যে, আলোচ্য বিচারক একক বেঞ্চের নেতৃত্ব দেননি। তিন ধরনের বেঞ্চ গঠিত হতে পারে—একক, দ্বৈত ও তিন সদস্য নিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ। স্পিকার সম্পর্কে যেদিন মন্তব্য ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেদিন আলোচ্য বিচারক একটি দ্বৈত বেঞ্চের অন্যতম বিচারক ছিলেন। দ্বৈত বেঞ্চের বিচারকদের ক্ষমতা ও এখতিয়ার কারও চেয়ে কমবেশি নয়। তবে জ্যেষ্ঠ বিচারকের সঙ্গে কনিষ্ঠ বিচারক সাধারণত একমত হন। কিন্তু আমরা তো বেঞ্চ বিভক্ত হতে দেখি। বিশেষ করে, জামিন দেওয়ার মতো মামুলি ঘটনায়ও একাধিক বেঞ্চ বিভক্ত হয়েছে। স্পিকারের বিষয়ে কনিষ্ঠ বিচারক তাঁর জ্যেষ্ঠ বিচারকের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করতে পারতেন। স্পিকার তাঁর রুলিংয়ে বিষয়টি উল্লেখ না করলেও সাংবিধানিকভাবে কনিষ্ঠ বিচারক দায় এড়াতে পারেন না।
স্পিকারের রুলিং প্রধান বিচারপতি কিংবা অন্য বিচারকেরা কীভাবে গ্রহণ করেছেন, তা জনগণের কাছে প্রতীয়মান হতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে নীরবতা নিশ্চয়ই কোনো হাতিয়ার বা বর্ম হতে পারে না। স্পিকারের রুলিং প্রমাণ করে যে ব্যক্তিবিশেষের মন্তব্য প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি দল, বিরোধী দল আমাকে সর্বসম্মতিক্রমে স্পিকার নির্বাচিত করেছেন। আমার জ্ঞান-যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তা সংসদের সব মাননীয় সদস্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’ একইভাবে প্রধান বিচারপতি বিবেচনায় নেবেন যে এই একটি বেঞ্চ সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরও জনগণ দেখেছে, প্রধান বিচারপতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। কারণ, তিনি ওই বেঞ্চের এখতিয়ার বদলাননি। সংসদীয় বিস্ফোরণের আগ পর্যন্ত ওই বেঞ্চের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কোনো করণীয় ছিল বলে প্রতীয়মান হয়নি।
আইনজীবী মোজাম্মেল হক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন, আলোচ্য বিচারক তাঁকে ‘বানর’ বলেছেন এবং আরও অনেক আইনজীবীর সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন। এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে, বঙ্গভবন থেকে ওই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু করণীয় নেই। তাঁর এই বক্তব্য আইনসিদ্ধ নয়। এর আগে বিচারপতি সৈয়দ শাহীদুর রহমানের বিষয়ে একইভাবে বঙ্গভবন থেকে চিঠি এসেছিল। ওই সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ডেস্কের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারক আমাকে বলেন, তাঁরা তখন চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে না পাঠিয়ে সরাসরি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠিয়েছিলেন। আইনমন্ত্রী সেই রেওয়াজ অনুসরণ করতে পারেন। 
তবে প্রধান বিচারপতির সামনে অনেক বিকল্প। আলোচ্য বিচারকের বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে সক্রিয় হতে দিতে রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় স্পষ্ট বলেই মনে হয়েছে। ৭ জুন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জন্নাতুন নাঈম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই আইনজীবীর অভিযোগের বিষয়ে আইনসচিবকে লেখা হয়, ‘জনাব এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে বিচার বিভাগ হইতে অপসারণের জন্য দ্রুত কাউন্সিল গঠন করত আনীত অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেছেন। বর্ণিত অবস্থায় উক্ত বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদনপত্রের ফটোকপি নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।’ এটা পরিহাসের যে রাষ্ট্রপতির সাড়াদানের পাঁচ দিন পরে অভিযোগকারী আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে সুয়োমোটো রুল জারি করেছেন আলোচ্য বিচারক।
প্রধান বিচারপতি কোনো বিচারককে কাজ না দিতে পারেন, একক বেঞ্চ দিতে পারেন, দেওয়ানি মোকদ্দমা নিষ্পত্তির দায়িত্ব দিতে পারেন। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি বললেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন খুবই গুরুতর অভিযোগ। বিচারক অনেককে যথাযথ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারেন, কিন্তু তিনি যেন যথাযথ প্রক্রিয়ার আশ্রয়লাভ থেকে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হন।’
স্পিকার বলেছেন, আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। এই আপ্তবাক্যটি ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীদের খুবই প্রিয়। কিন্তু এটি সত্য নয়, বরং সাংবিধানিকভাবে বিচারব্যবস্থাকে নির্বাহী বিভাগের মুঠোয় রাখা হয়েছে। স্পিকার বলেছেন, ‘সড়ক ভবন হঠাৎ সরালে এর কার্যক্রম পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়বে, যা সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’ তাই তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলো যেন মহামান্য আদালত বিচার-বিবেচনা করেন, সে অনুরোধটুকু সেদিন করেছিলাম।’ কিন্তু এই অনুরোধ তিনি এভাবে করতে পারেন না। তবে বিচার বিভাগ নিয়ে সংসদের অনেক কিছু বলার আছে এবং সেটা বলতে সংসদকে লাগসই উপায় উদ্ভাবন করতে হবে।
১৭০১ সালে স্থির হয়েছিল যে কোনো বিচারক ‘সদাচরণকাল পর্যন্ত’ দায়িত্ব পালন করবেন, রাজার ইচ্ছাধীনে নয়। কিন্তু সেই লড়াইটা থামেনি। আজ এই বাংলাদেশেও চলছে। অভিশংসন ছাড়াও বিচারক অপসারণে ইংল্যান্ড আরও দুটি পন্থা অনুসরণ করত। একটি হলো বিশেষ ধরনের রিট (Scire Facias)। এটি ১৮৩০ সালের পর ব্যবহার হয়নি। আরেকটি ছিল ফৌজদারি তথ্য। ১৯৬৭ সালে এর বিলুপ্তি ঘটে। ১৮০৫ সালে বিশিষ্ট নাগরিকদের মানহানির দায়ে বিচারকের বিচার হয়েছিল ইংল্যান্ডে। বিচারপতি রবার্ট জনসন রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। অবিচারকসুলভ মন্তব্যের জন্য তিনি কুখ্যাতি কুড়ান। ২০০৯ সালে মার্কিন কংগ্রেস বিচারক স্যামুয়েল কেন্টকে অপসারণ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিচার বিভাগীয় সন্ত্রাসের রাজত্ব’ সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছিল।
আলোচ্য বিচারক সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সেই অভিযোগ আমরা অনেকবার তুলেছি। তবে স্পিকারের অব্যবহিত আগে সম্ভবত সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যভাবে একই অভিযোগ তুলেছিলেন মাহমুদুল ইসলাম। শ্রদ্ধাভাজন এই সংবিধানবেত্তা শেখ হাসিনার আগের মেয়াদে অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। আলোচ্য বিচারক কিছু ভালো কাজও করেছিলেন, কিন্তু তাই বলে সংবিধানের লঙ্ঘন ঘটিয়ে ভালো কাজ কাম্য নয়। 
কারও নাম না নিয়ে জনাব ইসলাম বলেন, ‘কতিপয় বিচারক সুয়োমোটো রুল জারি করতে তাঁদের এখতিয়ার লঙ্ঘন করছেন। কারণ, রুল দিতে হলে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদন থাকতে হবে। এ শর্ত আছে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদে। কিন্তু সংবিধানের লঙ্ঘন ঘটিয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করা হচ্ছে।’ সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের কথায়, ‘উদ্দেশ্য হোক না যতই মহৎ, এভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন ঘটালে তাতে আইনের শাসন আঘাতপ্রাপ্ত হয়।’ সংবিধানের অভিভাবক হয়ে সুপ্রিম কোর্টের এহেন কর্মকাণ্ডে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। আমরা শুধু বলব, প্রধান বিচারপতি এ ধরনের লঙ্ঘনরোধে কোনো ব্যবস্থাই নেননি। একটি লাতিন প্রবচন হলো, নিজের বিষয়ে কেউ বিচারক হতে পারেন না। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে এখন সেটাও ঘটছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি নীরব রয়েছেন। তাই প্রশ্ন, স্পিকারের রুলিংয়ে তাঁর সেই নীরবতা ভাঙবে কি না। এটাই এখন দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। 
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন